কথায় আছে, "স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল" । তাই, স্বাস্থ্য ঠিক থাকলে জীবন হয় সুখী ও সমৃদ্ধশালী । আর স্বাস্থ্যের অবনতি হলে জীবনকে মনে হয় অভিশপ্ত ।তাই স্বাস্থ্য ঠিক রেখে সুন্দর জীবনযাপন করতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে কিছু করণীয় পালন করতে হবে ।
নিচে সুস্থ সুন্দর জীবনযাপনে কয়েকটি করণীয় তুলে ধরা হলো :-
১। প্রতিদিন ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠুন:-
প্রতিদিন সকালে দেরি করে ঘুম থেকে ওঠা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর । তাই রাতে তাড়াতাড়ি শুয়ে সকালে সূর্যাস্তের আগেই ঘুম থেকে উঠুন ।
২। সকালে বিভিন্ন ধরনের শরীরচর্চা করুন:-
সকাল বেলা বিভিন্ন প্রকার শরীরচর্চার অভ্যাস গড়ে তুলুন ।
৩। ভাজাপোড়া খাবার পরিহার করুন:-
ভাজা বেগুনি,বড়াসহ এজাতীয় খাবার সম্পূর্ণরূপে পরিহার করুন ।
৪। কম্পিউটার , মোবাইলের ব্যবহার কমান:-
কম্পিউটার ও মোবাইলে আসক্ত হলে এ থেকে মুক্ত হওয়ার যথাসম্ভব চেষ্টা করুন ।
৫। মোবাইল গেম থেকে দুরে থাকুন :
মোবাইল গেম মাদকের মতো নেশাজাতীয় সর্বনাশের বস্তু । তাই এটিকে সতর্কতার সাথে এড়িয়ে চলুন ।
৬। বিনোদন গ্রহণ করুন:-
মন ভালো রাখতে প্রতিদিন কিছু না কিছু বিনোদন উপভোগ করুন ।
৭। নিজের কর্মের প্রতি মনোযোগ দিন ।
৮।পরিবারের প্রতি সময় দিন:
কাজের প্রতিকুলতার মাঝে অবসর সময়ে পরিবারের সদস্যদের সাথে দৈনিক কিছুটা হলেও সময় দিন ।
৯। শাক-সবজি জাতীয় খাবার গ্রহণ করুন:-
প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় অবশ্যই অল্প কিছু হলেও ফলমুল শাকসবজি গ্রহণ করুন ।
১০। প্রতিদিন খেলাধুলা করার চেষ্টা করুন:-
প্রতিদিন কিছু সময় বন্ধুবান্ধব সহ সমবয়সীদের সাথে খেলাধুলায় মনোনিবেশ করুন ।
১১। নামাজ-কালামসহ নিজ নিজ ধর্মীয় ইবাদতে সচেষ্ট থাকুন:-
নিয়মিত ধর্মীয় ইবাদত পালন মানুষের মনে প্রশান্তি আনে । তাই সবসময় ইবাদত পালনে মনোযোগী হউন ।
১২। নিয়মিত দান করুন:-
অনেকেই মনে করেন, দান করলে সম্পদ কমে যাবে । না, দান কখনোই সম্পদ কমায় । বরং , দান করলে সম্পদ পবিত্র হয় , আর আপনার অজান্তেই সম্পদ বৃদ্ধি পেতে থাকবে । তাই , সামর্থ্য অনুযায়ী নিয়মিত দান করুন ।
১৩। আল্লাহর কাছে বারবার সাহায্য প্রার্থনা করুন:
নিজের মনের সকল চাওয়া- পাওয়া নির্দ্বিধায় মুনাজাতের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে চান ।
১৪। দোকানের প্যাকেটজাতীয় খাবার যথাসম্ভব পরিহার করুন:
দোকানের প্যাকেটজাতীয় খাবারে আজকাল স্বার্থান্বেষী অসাধু ব্যবসায়ীরা নানারকম বিষাক্ত দ্রব্য ব্যবহার করছে । এতে করে মানুষ ক্যান্সার জনীত রোগসহ নানারকম জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে । তাই এসব খাবার যথাসম্ভব পরিহার করুন ।
১৫। পুষ্টিকর ফলমুল গ্রহণ করুন:
প্রতিদিন সকাল ও বিকালের নাস্তা হিসেবে বিভিন্ন পুষ্টিকর ফল খেতে পারেন । এছাড়া প্রতিদিন কমপক্ষে ১টি করে হলেও ডিম খান ।
১৬। প্রতিদিন কমপক্ষে এক গ্লাস দুধ খেতে পারেন:
দুধ খাওয়ায় কোনো শারীরিক সমস্যা না থাকলে প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ খেতে পারেন । এতে করে আপনার শরীরের আমিষ, ভিটামিন-ডি, ক্যালসিয়াম এর ঘাটতি পুরণ হবে ।
শেষ কথা
তো অনেক কথা বলে ফেললাম ! আজ আপনাদের কাছ থেকে এখানেই বিদায় নিচ্ছি । আপনারা এখন আমার এ পরামর্শ গুলো গ্রহণ করবেন কিনা আপনাদের বিষয় । পরবর্তীতে আরো নতুন বিষয় নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হবো । সেই পর্যন্ত Wapmet.com এর সাথেই থাকুন , সুস্থ্য থাকুন । খোদা হাফেজ !
You must be logged in to post a comment.